মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার - মোবাইল কেনার আগে করনীয়।
মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার মোবাইল একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিক বস্তু। আমরা দৈনিক কাজে মোবাইল ব্যবহার করে থাকি সে ব্যবহৃত মোবাইলটি যদি খারাপ হয় তাহলে আমাদের কাজের অসুবিধা হয় এজন্য মোবাইল কেনার আগে করনীয় কি এবং মোবাইল কেনার নিয়ম ইত্যাদি জানা প্রয়োজন।
আপনারা যেন আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী সঠিক ফোনটি কিনতে পারেন এজন্য মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার এবং মোবাইল কেনার টিপস ইত্যাদি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। এছাড়াও আপনাদের প্রয়োজনীয় কিছু প্রশ্নের উত্তর দিব।
সূচিপত্রঃ মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার - মোবাইল কেনার আগে করনীয়।
মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার।
- প্রথমেই বলি ফোন কেনার সম্পর্কে আমাদের একটি ভুল ধারণা আছে সেটা হচ্ছে যত বেশি টাকা দিব তত ভালো ফোন পাবো এই ধারণাটা আজ থেকে পাঁচ সাত বছর আগে ঠিক ছিল। তবে বর্তমানে এখন ফোন কিনতে চান আপনি প্রচুর পরিমাণ ঠকে যাবেন। মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার সেটা হলো আপনি মার্কেটে এমন কোন ফোন পাবেন না সেটা যত দামেরই ফোন হোক তার মধ্যে সব ফিউচার থাকবে না যেমন কোনটার প্রসেসর ভালো , কোনটার ক্যামেরা ভালো, আবার কোন ফোনে ব্যাটারি ভালো।কোন ফোনে কিন্তু সব দিক দিয়ে কিছু না কিছু কমতে থাকবে। তাই মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার তার মধ্যে সর্বপ্রথম জানা দরকার আপনার রিকোয়ারমেন্ট বা আপনি যে ফোনটা কিনছেন সেটা কি কারণে কিনছেন, আপনি সেই ফোনটা দিয়ে কি কাজ করবেন, সেটা যদি আপনি সঠিকভাবে নির্ধারণ না করেন তাহলে কিন্তু আপনি সঠিক ফোন বাছাই করতে পারবেন না এবং আপনি দোকানে গিয়ে ঠকে যাবেন। তাই আপনি যদি মোবাইল কিনতে গিয়ে ঠোঁকে না যান এজন্য মোবাইল কেনার আগে যা যা জানা দরকার সকল বিষয়গুলো আপনার মাথায় রাখতে হবে।আরো পড়ুনঃ ইংরেজি শেখার সেরা ৫ টি ইউটিউব চ্যানেলের নাম।সহজ ভাষায় বলতে গেলে মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার তার মধ্যে প্রথম হচ্ছে আপনার রিকোয়ারমেন্ট, দ্বিতীয় নাম্বার হচ্ছে আপনার বাজেট, তৃতীয় নম্বর হচ্ছে কোন সম্পর্কে বিস্তারিত জানা।
ফোন কেনার আগে করনীয়
- পূর্বে মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার সে সম্পর্কে সামান্য একটি ধারণা দিয়েছি আপনাদের। কিন্তু ধারণা দিয়ে একটি পরিপূর্ণ আপনার প্রয়োজনীয় ভাল মানের ফোন কিনা যাবে না। তাই আমি এখন আপনাদের বিস্তারিত বলবো মোবাইল কেনার আগে করনীয় কি। আশা করছি মোবাইল কেনার আগে করনীয় বিষয়গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করলে আপনারা ভালো মানের একটি ফোন আপনার বাজেটের মধ্যে কিনতে পারবেন তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
- আপনার রিকোয়ারমেন্ট সিলেট করুনঃমোবাইল কেনার আগে করনীয় এর মধ্যে প্রথম ধাপ হচ্ছে আপনার রিকোয়ারমেন্ট। এর মানে হচ্ছে আপনি ফোনটি কোন কাজের জন্য কিনছেন। আপনি কি গেম খেলবেন? নাকি আপনি ছবি তোলার জন্য কিনছেন? ইত্যাদি আপনার রিটারমেন্ট সিলেট করুন।
যেমনঃ যারা সিনেমা দেখতে ভালোবাসে তাদের জন্য হাই কোয়ালিটি ডিসপ্লে প্লাস ব্যাটারি ব্যাকআপ ভালো হওয়া উচিত। যারা ফটোগ্রাফি বা ভিডিও মেকিং করতে চাই তাদের জন্য অবশ্যই ক্যামেরা ভালো হওয়া একটি ফোনের প্রয়োজন আশা করছি আপনার রিকোয়ারমেন্ট কিভাবে সিলেক্ট করবেন সেটা সহজভাবে বলে দিতে পেরেছি।
বাজেট নির্ধারণ করুনঃ আপনাকে একটি বাজেট নির্ধারণ করতে হবে আপনাকে ভাবতে হবে যে আমি এই টাকার মধ্যে আমি একটা ভালো ফোন কিনব আমার রিকোয়েন্টমেন্ট অনুযায়ী এটা হচ্ছে আপনার মোবাইল কেনার আগে করনীয় দ্বিতীয় ধাপ। ধরুন আপনি 10000 টাকা বাজেট ঠিক করলেন এর মধ্যে আপনি ১০০০ টাকা কম বেশি করতে পারেন।
কি দেখে ফোনটি কিনবঃ এবার আমরা আসি একটি ফোনের কোন কোন দিক দেখে ফোনটি কেনা উচিত সে বিষয়ে সম্পর্কে। এ মোবাইল দেখার ধরনকে আমি দুই ভাগে ভাগ করলাম আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে একটা হচ্ছে internal Specification এবং আরেকটা External Specification.
internal Specification: internal Specification গুলো হচ্ছে প্রসেসর, র্যাম, রোম, ব্যাটারি। এগুলো কিন্তু আমরা বাইরের থেকে দেখতে পাবো না। এগুলোর মধ্যে মোবাইলের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে প্রসেসর। এক কথায় ফোনের সকল কাজ নিয়ন্ত্রণ করে এই প্রসেসর। ওকে তাহলে প্রসেসর যদি কমা হয় বা প্রসেসর যদি ভালো না হয় এবং অন্যদিকে আপনি যত জিবি ram নিন্দ না কেন আপনার ফোন কিন্তু থাকবে। প্রসেসরের মধ্যে আমরা ভাগ আছে ডুয়েল কর প্রসেসর অক্টাগন প্রসেসর হয় এবং ওয়ার্ড কর প্রসেসর।
আরো পড়ুনঃ নারীদের জান্নাতে যাওয়ার সহজ উপায়।
এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন এসেছে ডুয়েল কুর (core) বা অক্টাগণ আসলে কি? সহজ ভাষায় বলি ধরুন আপনার ব্রেন আছে আর ফোন হচ্ছে আপনার হাত। এখন আপনার ব্রেন নির্দেশন দিবে কিন্তু কাজ করবে কে অবশ্যই হাত কাজ করবে।ডুয়েল কর প্রসেসর মানে দুইটা হাত। ওয়ার্ড প্রসেসর মানে চারটা হাত আর অক্টাগন প্রসেসর মানে আটটা হাত। অর্থাৎ আপনার দুইটা হাতের পরিবর্তে যদি আটটা বা চারটা হাত থাকে তাহলে আপনারা কোন কাজ সহজে করে ফেলতে পারবেন ঠিক তেমনি। আশা করছি মোবাইল কেনার আগে করনীয় প্রসেসর সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দিতে পেরেছি।
এবার আমরা জানবো ram বিষয়ে। র্যাম এবং প্রসেসর একে অপরের সাথে অঙ্গানু ভাবে জড়িত। আপনি প্রসেসর ভালো নিলেন কিন্তু র্যাম কমা নিলেন তাহলে আপনার মোবাইল স্লো চলবে। আবার আপনি র্যাম অনেক বেশি নিলেন তাহলেও কিন্তু আপনার ফোন ধীর গতিতে চলবে। অর্থাৎ আপনার প্রসেসর যেরকম নিবেন এরকমই ram নিবেন। অর্থাৎ আপনার প্রসেসর যদি হয় অক্টাগণ core তাহলে আপনার ram হওয়া উচিত আর জিবি তাহলে আপনার ফোন মাখন এর মত চলবে।
এবার আসি রোম এর বিষয়ে মোবাইল কেনার আগে করনীয় বিষয়গুলোর মধ্যে রোম সম্পর্কে জ্ঞান রাখা প্রয়োজন। আমরা সাধারণত এখন এক্সট্রা কোন মেমোরি ব্যবহার করতে চায়না। কিন্তু আমাদের এক্সট্রা মেমোরি ব্যবহার করা উচিত তাহলে আমাদের ফোনটি ভালোভাবে চলবে। ধরুন আপনি একটু ফোন কিনতে গেলেন সে ফোনের রোম হচ্ছে ১২৮ জিবি কিন্তু আপনি সেখান থেকে পাবেন ১০০ জিবি আর বাকি ২৮ জিবি আপনার ফোনে ইন্সটল করা অ্যাপস নিয়ে নিবে। ইন্টারনাল মেমরি মানে ফোনের মধ্যে থাকা মেমোরি যতটা ফুল কম থাকবে আপনার ফোন ততটা ভালো চলবে
তাই আপনি চেষ্টা করবেন একটা এক্সট্রা মেমোরি ব্যবহার করা এবং মোবাইল কেনার সময় ফোনের রোম বেশি নিয়া। internal Specification এর আরেকটি ব্যাটারি ব্যাকআপ। ব্যাটারির চার্জ কতক্ষণ থাকবে কতক্ষণ থাকবে না এটা কিসের উপর নির্ভর করে? প্রথমত আপনার ডিসপ্লে এর ওপর আপনার ব্যাটারি ব্যাকআপ নির্ভর করে এবং আপনার নেটওয়ার্ক মানে আপনি যেখানে আছেন সেখানে নেটওয়ার্ক কেমন আছে এবং আপনি কতক্ষণ ডাটা ইউজ করছেন সে অনুযায়ী আপনাদের ব্যাটারি সিলেক্ট করতে হবে।
তবে কোম্পানি কিন্তু সাধারণত ডিসপ্লের সাথে কম্পেয়ার করে ব্যাটারিটা লাগিয়ে দেয়। তবে এখন বর্তমানে যদি বলি আপনি কমপক্ষে সাড়ে চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার মিলিয়াম ব্যাটারি অবশ্যই নিবেন সাড়ে চার হাজারের নিচে আপনি কিন্তু ভালো ব্যাটারি ব্যাকআপ পাবেন না।
External Specification ; External Specification এরমধ্যে রয়েছে ক্যামেরা এবং ডিসপ্লে। আপনাদের মধ্যে কেউ যদি ভিডিও দেখতে ভালোবাসে বা মুভি দেখার জন্য ফোনটা নিতে চায় তাহলে অবশ্যই তার ডিসপ্লে কোয়ালিটি ভালো হতে হবে তার ডিসপ্লে রেগুলেশন ভালো হতে হবে এবং সেটি এইচডি হতে হবে। এবার আসে ক্যামেরার বিষয় আপনাদের মধ্যে কেউ যদি ছবি তোলার জন্য বা ভিডিও করার জন্য ফোন নিতে চাই তাহলে অবশ্যই তার ক্যামেরা কোয়ালিটি অনেক ভালো হতো।
তার এমন ক্যামেরা প্রয়োজন যেখানে এইচডি কোয়ালিটির ভিডিও রেকর্ড করতে পারে। আর যদি সেলফির জন্য হয় তাহলে অবশ্যই তাকে আট মেগাপিক্সেলের উপরে সেলফি ক্যামেরা নিতে হবে। আশা করছি মোবাইল কেনার আগে করনীয় কি সে সম্পর্কে আপনাদের ভালোভাবে ধারণা দিতে পেরেছি এরপরেও যদি আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আমি উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব।
অফিসিয়াল ফোন চিনবো কিভাবে।
আমাদের মনের কমন প্রশ্ন অফিসিয়াল ফোন চিনবো কিভাবে?অফিসিয়াল ফোন চিনবো কিভাবেসেটা জানার আগে আমাদের জানা উচিত অফিশিয়াল ফোন কাকে বলে। সহজ ভাষায় যে ফোন ব্যবহার বৈধ সরকার অনুমোদিত তাকে অফিসিয়াল ফোন বলে। আরো সহজ ভাষায় বলতে গেলে যে ফোন বিটিআরএস দ্বারা নিবন্ধন করা তাকে অফিসিয়াল ফোন বলে।এবার বলি অফিসের ফোন চিনবো কিভাবে প্রথমে আপনি মোবাইলটা কিনার পর
আপনার সিম কার্ডটি ফোনের মধ্যে প্রবেশ করাবেন এবং অবশ্যই সিম কার্ডের টাকা রিচার্জ করে নিবেন এরপর আপনার ফোনের মেসেজ অপশনে যাবেন মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপিং করবেন KYD এরপর স্পেস দিয়ে আপনার ফোনে থাকা ১৫টি আই এম ই আই নাম্বার খুঁজে সেটি লিখে ১৬০০২ এই নাম্বারে পাঠিয়ে দিবেন। কিছুক্ষণের মধ্যে আপনার ফোনে একটি এসএমএস আসবে এবং আপনি এসএমএস এর মাধ্যমে জানতে পারবেন আপনার ফোনটি অফিশিয়াল না আনঅফিসিয়াল।
গেমিং এর জন্য কত NM প্রসেসর ভালো?
আপনি যদি শুধু গেমিং এর জন্য ফোন খুজতে থাকেন তাহলে আপনার মনে প্রশ্ন হচ্ছে গেমিং এর জন্য কত এমএন প্রসেসর ভালো। তাহলে আমার মতামত অনুযায়ী 4nm অক্টা-কোর CPU আপনার জন্য বেস্ট। আশা করছি গেমিংয়ের জন্য কত এমএন প্রসেসর ভালো সেটা সহজ ভাবে আপনাকে উত্তর দিতে পেরেছি। এখন গেমিং এর জন্য কত এমএন প্রসেসর ভালো এটা জানার পরেও যদি আপনার মনে প্রশ্ন আসে অক্টো core প্রসেসর আসলে কি এর উত্তর আমি উপরে বলে দিয়েছি আপনি পড়ে নিতে পারেন।
কোন মোবাইল সবচেয়ে ভালো ২০২৩ সালে।
আমাদের মনের সহজ প্রশ্ন কোন মোবাইল সবচেয়ে ভালো ২০২৩ সালে এটা ঠিক এক্সপ্রেসিভ ভাবে বলা যায় না কারণ আপনার চাহিদা এবং ডিমান্ড অনুযায়ী আপনার জন্য কোনটা ভালো হবে সেটা আপনি জানবেন। আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো ফোন খুঁজে বের করার জন্য আপনাকে ফোন সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে হবে যা আমি উপরে বিস্তারিত বলেছি। তারপরও কোম্পানির ফোন ২০২৩ সালে খুব ভালো চলছে বা হাই ডিমান্ড ফুল বলা চলে।
তাহলে চলুন কোন মোবাইল সবচেয়ে ভালো ২০২৩ সালের সেটা জেনে নিন এর মধ্যে প্রথমে আছে iphone, samsung, ওয়ানপ্লাস, শাওমি, ভিভো, ইনফিনিক্স ইত্যাদি। আশা করছি কোন মোবাইল ফোন সবচেয়ে ভালো ২০২৩ সালে এ প্রশ্নের সংযুক্ত আপনাকে আমি দিয়ে দিয়েছি।
শেষ মন্তব্য।
ইতিপূর্বে মোবাইল কেনার আগে যা যা জানা দরকার বা মোবাইল কেনার আগে করনীয় এবং মোবাইল সম্পর্কে সামান্য কিছু প্রশ্নের উত্তর আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। আশা করছি মোবাইল কেনার জন্য যে সব তথ্য জানা প্রয়োজন আপনারা জানতে পেরেছেন এর পরেও যদি কোন প্রশ্ন থাকে অবশ্যই আমাকে কমেন্ট বক্সে জানাবেন আপনাকে সঠিক পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করব।
এখন আপনি যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন আপনার জন্য কোন ফোনটি ভালো হবে তাহলে আমি বলব আপনার রিকোয়ারমেন্ট কি আপনার রিকোয়ারমেন্ট যদি গেমের কারণে হয় তাহলে আপনার অফ প্রসেসর এবং এর থেকে 16gb রেম হলে আপনার জন্য বেস্ট হয়। এভাবে আপনার রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী আপনার ফোনটি আপনি বেছে নিবেন।
আশা করছি মোবাইল কেনার আগে করনীয় কি সে সম্পর্কে আপনাকে বিস্তারিত বলে দিতে পেরেছি পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।